মুসলমান ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসা যাবে না- এই বিশ্বাস হল যুদ্ধের আগেই আগ্রাসী মুসলিম মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার সমান। ওরাই ক্ষমতার নির্ণায়ক শক্তি- এই মিথ্যা, এই মিথটাই হল মুসলিম তোষণের ভিত্তি। এই বিশ্বাস থেকেই মুসলিম তোষণ শুরু হয়।
এবার ২০১৬র বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে তুলনামূলক বিচার করে দেখুন যে এই তৃণমূল সরকার গঠনে রাজ্যের তিনটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের কন্ট্রিবিউশন আদৌ কতটা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোর কন্ট্রিবিউশন কতটা!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আগামী ২০২১ এর নির্বাচনে মূসলিম এবং হিন্দু ভোটের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তৃণমূল আর বিজেপি কী ভাবছে? ‘মুসলিম ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসা যায় না’- এই মিথকে সত্য ধরেই কি সবাই এগিয়ে যাবে? নাকি ৭০% হিন্দু ভোট তার উপযুক্ত মূল্য পাবে। যে ই ক্ষমতায় আসুক, এই মিথকে ভাঙতে না পারলে এই নির্বাচনের পরে হিন্দু ভোটের কি কোনও মূল্য থাকবে? হিন্দু ভোট মূল্যহীন হয়ে পড়লে এই রাজ্যে আপনার আমার ভবিষ্যৎ কী হবে?
আমি জানি এই প্রশ্নগুলো অনেককেই অস্বস্তিতে ফেলে দেবে, বিশেষতঃ নির্বাচনের আগে আগে। তবুও সব দলের হিন্দু কর্মী-সমর্থকদের কাছে অনুরোধ, নিজের নিজের পার্টির নেতাদের সামনে এই প্রশ্নগুলো রেখে দেখুন আদৌ তারা আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সৌজন্যটুকুও দেখায় কি না। তারপরে প্রশ্ন আসবে এইসব প্রশ্নের উত্তর দলের নির্বাচনী ইস্তেহারে স্থান পায় কি না!