যার যোগ্যতা যতটা, এই পৃথিবীতে তার প্রাপ্য ঠিক ততটাই। আন্দোলনের প্রয়োজন তখনই হয় যখন যোগ্য প্রার্থীকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু অযোগ্যকে তার অধিকার হাতে তুলে দিলেও সে সেই অধিকার রক্ষা করতে পারে না। তাই অযোগ্য’র আন্দোলন নিষ্ফলা। তাই অধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং প্রাপ্য অধিকার রক্ষা করার যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা- এই দুটোই পাশাপাশি চলা দরকার।
পশ্চিমবঙ্গের জন্ম হয়েছিল বাঙ্গালী হিন্দুর হোমল্যান্ড হিসেবে। তাই এই পশ্চিমবঙ্গের মাটির উপরে প্রথম অধিকার বাঙ্গালী হিন্দুর। মুসলমানরা সংগঠিতভাবে পাকিস্তান চেয়েছিল এবং তা পেয়েছিল। তাই পার্টিশনের পরে তাদের এখানে থাকার নৈতিক অধিকার আছে কি না- এই প্রশ্ন মোটেই অযৌক্তিক নয়। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত অবাঙ্গালী হিন্দুরা আমাদের বৃহত্তর পরিবার অর্থাৎ হিন্দু সমাজের সদস্য হলেও তাদের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেকেরই ভারতের মধ্যে একটা হোম স্টেট আছে। বাঙ্গালী হিন্দুর জন্য আছে একমাত্র এই পশ্চিমবঙ্গ। সুতরাং এই মাটির উপরে প্রথম অধিকার বাঙ্গালী হিন্দুর একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মাটি বাপের হয় না, মাটি হয় দাপের। কাগজ, যুক্তি, তর্ক দিয়ে কোনও দিন মাটির দখল পাওয়া যায় নি, পাণ্ডবরাও পারেন নি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শান্তি প্রস্তাবেও কাজ হয় নি। ফয়সালা হয়েছিল কুরুক্ষেত্রের ময়দানে, শক্তির পরীক্ষার মাধ্যমে। আজকের দিনেও এই নিয়মের অন্যথা হওয়ার নয়- বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
তাই বাঙ্গালী হিন্দুকে নিজের অধিকার বুঝে নিতে হলে কান্নাকাটি, আবেদন-নিবেদন, হাহুতাশ ছেড়ে নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে। নিজের বাঙ্গালী পরিচয়ের স্বরূপ উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই পরিচয়ে গৌরবান্বিত হতে হবে। বাঙ্গালীকে নিজের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অনুশীলন করতে হবে। তার সাথে সাথে ক্ষমতা (Power) চাই- বৌদ্ধিক ক্ষমতা, আর্থিক ক্ষমতা, সামরিক ক্ষমতা, রাজনৈতিক ক্ষমতা। ক্ষমতায়নের জন্য সাধনা চাই, উদ্যম চাই। আর ক্ষমতার সঠিক ব্যবহারের জন্য চাই সাহস। ইহুদীরা যদি পারে, বাঙ্গালীও পারবে।
Amar hindu vai ra saby jano 1 hoya thake amar ai tuku nibedon sabar kashe ar kushu na ar judho karar janno jano pastut thake ai india amader sudu hindu der ar karor na joy sri ram
LikeLike